শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ অপরাহ্ন
রাজু মিয়া, নোবিপ্রবিঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো ‘উদ্ভাবন প্রদর্শনী ইনোভেশন শোকেসিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি কক্ষে ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা ২০২৩-২০২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন টিম এর আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনী শেষে বিজয়ী দলসমূহের মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার এই যুগে তথ্য প্রযুক্তিতে নতুন ইনোভেশন অগ্রাধিকার পাচ্ছে। প্রযুক্তি থেকে শুরু করে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, শিক্ষা-গবেষণার ধরণ প্রতিনিয়ত আরো আধুনিক ও উন্নততর হচ্ছে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিকুর রহমান ভূঞা, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুন নবী, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকার, ইনোভেশন টিম এর ফোকাল পয়েন্ট ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবু জুবায়েরসহ এপিএ ও ইনোভেশন টিম এর অন্যান্য সদস্যরা।
প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দল ২৩টি উদ্ভাবনী প্রকল্পের পরিকল্পনা প্রদর্শন করে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ৯টি, শিক্ষকদের ৯টি ও কর্মকর্তাদের ৫টি প্রকল্প রয়েছে। প্রতিযোগীতায় পারিতোষিক বিল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট এ সম্মিলিতভাবে সেরা হয়েছেন নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সহকারী অধ্যাপক মো. ইফতেখার আলম ইফাত ও তার দল। এরপর শিক্ষক ক্যাটাগরিতে ডিএনএ বারকোডিং ফর এনিমেল, প্লান্ট এন্ড মাইক্রোভস উদ্ভাবনে প্রথম হয় বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও তার দল। কর্মকর্তাদের মাঝে অটোমেটেড আইডি কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ইনোভেশনে সাইবার সেন্টারের প্রোগ্রামার রনক ভৌমিক ও তার দল প্রথম হয়। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মার্ট এমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্ভাবনে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশ চন্দ্র দেবনাথ ও তার দল।